• ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা-পরিবেশ উপদেষ্টা

দৈনিক সোনালী সিলেট
প্রকাশিত জুন ১৪, ২০২৫
অবৈধ পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা-পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জনগণের সম্পদ পাথর যারা বেআইনিভাবে উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করবে। আজ শনিবার বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সরকার পাথর কোয়ারি থেকে যে রাজস্ব পায়, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক চলাচলের কারণে। দেশে ব্যবহৃত পাথরের মাত্র ৬ শতাংশ আসে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। এই সামান্য প্রয়োজন মেটাতে আমাদের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা যায় না।এর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে সিলেট অঞ্চলের পরিবেশ রক্ষা, বন সংরক্ষণ এবং নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেন উপদেষ্টা। পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সিলেটের অনন্য প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।  তিনি নদী ও হাওর রক্ষা, খননকৃত বালুর ব্যবস্থাপনা, পাহাড়-টিলা সংরক্ষণে দপ্তরসমূহের মধ্যে সমন্বয় ও তথ্য বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সরকারি অফিসে সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক বন্ধ করতে এবং পাহাড়-টিলা কাটায় ‘না’ বোঝাতে সাইনবোর্ড স্থাপনের নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। বন্যা নিয়ন্ত্রণে পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং আকাশমণি গাছ কেটে স্থানীয় প্রজাতির গাছ রোপণের জন্য তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে অবৈধ স্টোন ক্রাশিং মেশিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের তাগিদ দেন। আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক মো. শের মাহবুব মুরাদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এবং পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার। এর আগে উপদেষ্টারা জলযানে জাফলংয়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তাঁরা জাফলং স্টোন মিউজিয়াম ও হরিপুর রেস্ট হাউজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।