
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুধু যুদ্ধবিরতি নয়, বরং চলমান সংঘাতের পুরোপুরি অবসানের উপায় খুঁজছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ মঙ্গলবার কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার পথে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এয়ার ফোর্স ওয়ানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি শুধু যুদ্ধবিরতির কথা বলছি না, আমরা এর চেয়েও ভালো কিছু খুঁজছি। আমি চাচ্ছি, একটি চূড়ান্ত সমাধান, শুধু সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়। টানা পঞ্চম দিনের মতো ইসরায়েল ও ইরান পাল্টাপাল্টি হামলায় লিপ্ত রয়েছেন। ইসরায়েল ইরানের পরমাণু ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ইসরায়েল ও ইরান এই সংঘাতে জড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে দাবি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জি-৭ সম্মেলন থেকে নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওয়ানা হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালালে ইরানকে কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, তারা (ইরান) যদি কিছু করে, তাহলে আমরা এমনভাবে জবাব দেব, যেন তাদের গ্লাভস খুলে যায় ( লড়াই করার আর সাহস না পায়)। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনী এখনও প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে রয়েছে। ওয়াশিংটনে ফেরার পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মঙ্গলবার সকালেই তিনি হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত ভূরাজনৈতিক সংকট কিংবা বড় সামরিক অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সিচুয়েশন রুম ব্যবহার করে থাকেন। পরে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের শান্তি আলোচনা শুরু করিনি। তারা যদি কথা বলতে চায়, তারা জানে কীভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তিনি বলেন, আগের যে প্রস্তাবটা ছিল, তা যদি তারা মেনে নিত, তাহলে অনেক প্রাণ বেঁচে যেত। ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পর থেকে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়িয়েছে। তবে এখনো তা পরমাণু বোমা তৈরির পর্যায়ে পৌঁছেনি। যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা বহুবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, ইরানকে তারা পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে দেবে না।