
শুক্রবার (২০জুন): এখন সবচেয়ে আলোচিত শব্দ হচ্ছে নির্বাচন। আমরা আশা করি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন। তিনি আরও বলেন, নতুন রাজনৈতিক সরকার আসবে, তারাও যদি গণমাধ্যমকে নিজেদের তোষণযন্ত্র বানিয়ে ফেলে তাহলে প্রকৃতভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব না। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। রাজনীতিবিদদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন বলেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে আমার দায় হচ্ছে গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দেওয়া। সবার আকাঙ্ক্ষা আছে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার। বিগত সময়ে গণমাধ্যম আমাদের সাপোর্ট দেয়নি। বিগত সময়ে গণমাধ্যমও ফ্যাসিবাদী আচারণ করেছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম জুলাই বিপ্লবকে শুধু মাত্র আন্দোলন বলে। অনেক গণমাধ্যম জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে না। মনিরা শারমিন আরও বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কিন্তু ফ্যাক্টচেকিং করে সত্য তুলে ধরতে হবে। গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে। জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দুই দশকে পদার্পণ করেছে। এই উপলক্ষে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের ভূমিকা বিষয়ে উক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরাই আমাদের প্রচেষ্টা। জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন ও সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.রইছ উদ্দীন, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শহীদ চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ।