• ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

দৈনিক সোনালী সিলেট
প্রকাশিত জুন ২০, ২০২৫
খেলাধুলা ও ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল

শুক্রবার (২০জুন): বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমার জগতটা এখন রাজনীতির, কিন্তু আমি খেলার মধ্যে রাজনীতি আনার পক্ষে কোনো দিনই নই। আমি সবসময় মনে করেছি যে- খেলাধুলা, ক্রীড়াঙ্গন এটা রাজনীতিমুক্ত হওয়া উচিত। শুক্রবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের শহিদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে আয়োজিত ‘মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’-এর ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা যোগ্য তারা খেলবেন, আর সবচেয়ে বড় জিনিস যারা মাঠে থেকে খেলেন তাদের হৃদয়টা অনেক বড় হয়, এটা প্রমাণিত এবং দেখা যায় ওখানে ক্ষুদ্র দলমত এগুলো নিয়ে কোনো বিভেদ থাকে না। আমাদের মধ্যে সেটাই ছিল, আবার ছিল না। একেক জন একেক দল সমর্থন করতাম আমরা, একেক জন একেকটা মতামত সমর্থন করতাম, কিন্তু ক্রিকেট যখন আসত তখন আমরা সবাই একসাথে ক্রিকেটের পক্ষে থাকতাম। এ রকম অনেক স্মৃতি আছে সেসব স্মৃতি বললে অনেক সময় লেগে যাবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একটা কথা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, দেশটা আমার, এটা অন্য কারও নয়। এই দেশটাতে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের। গত ১৫ বছরে এই দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে, কিন্তু এখন সময় এসেছে এই দেশটাকে নতুন করে গড়ে তোলার। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি ঠাকুরগাঁওয়ের যারা ক্রীড়ামোদি আছেন, তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে, সেখানে আবার যেন দলমত ভাগাভাগি করা না হয়-দলমত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে যাদের যোগ্যতা আছে তাদের নিয়ে সাংগঠনিকভাবে এবং খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে আমাদের একটা নতুন করে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। অনেক প্রাণ গেছে, অনেক ছাত্ররা জীবন দিয়েছে, তাদের আত্মার প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যারা আহত হয়েছে তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং এইযে আমাদেরকে একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হয়েছে-একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করার জন্য এবং সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য যে পরিবেশটি নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে সে জন্য নিঃস্বন্দেহে তাদেরকে আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের এই দেশটাকে ঠিক যেভাবে গড়ে তোলার জন্য শপথ নিয়েছি, ঠিক তেমনিভাবে ক্রিকেটকে গড়ে তোলার জন্য আমরা সবাই মিলে শপথগ্রহণ করি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, ‘মির্জা রুহুল আমিন স্মৃতি টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সহসভাপতি নূর-এ-শাহাদাৎ স্বজন, ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সরদার মোস্তফা শাহিন, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ। ফাইনাল খেলায় দিনাজপুর ডেমনেটর্স ক্রিকেট দলকে পরাজিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাবনা ক্রিকেটার্স ক্রিকেট দল। এই টুর্নামেন্টের মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করেছিল।