সোনালী ডেস্ক:
যুদ্ধ চলাকালে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার জন্য বহুবার খুঁজেছে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা। তবে, তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় হত্যার বাস্তব কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। এমন বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন খোদ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ‘কান’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাৎজ বলেছেন, যদি সম্ভব হতো, তাহলে খামেনিকে হত্যা করত ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। কিন্তু তাঁকে খুঁজে না পাওয়ায় ভেস্তে গেছে সে পরিকল্পনা। ১২ দিনের যুদ্ধ শেষে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় দুই দেশের মধ্যে। তবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো সতর্ক রয়েছেন খামেনি।
ইরানি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরায়েলের ওপর তাদের বিন্দুমাত্র আস্থা নেই। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও যেকোনো সময় খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে পারে নেতানিয়াহু প্রশাসন। তাই খামেনির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তারা। ইরান-ইসরায়েল বৈরিতা নতুন নয়। তবে, গত কয়েক মাসে কয়েক গুন বেড়েছিল উত্তেজনা। ইরান ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বেশ কয়েক দিন ধরেই। সেই গুঞ্জন সত্য করে গত ১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও সরকারি ভবনগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা এবং পরমাণুবিজ্ঞানী। নিহত হয়েছে ছয় শতাধিক বেসামরিক নাগরিক। পাল্টা হামলা চালায় ইরানও। ইসরায়েল স্বীকার না করলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদেরও।