• ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

বিএনপি বিগত ১৭ বছরে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

দৈনিক সোনালী সিলেট
প্রকাশিত জুন ২২, ২০২৫
বিএনপি বিগত ১৭ বছরে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে : মিফতাহ্ সিদ্দিকী

রবিবার (২২ জুন): দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে মুখিয়ে আছে। বিএনপি বিগত ১৭ বছর থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছে। বিএনির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ফ্যাসিস্ট রেজিমের ক্যাঙ্গারো কোর্টে বিচারের নামে প্রহসনের শিকার হয়েছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি। বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী গুম-খুন, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে পঙ্গুত্বকরণ করেছেন। এত নির্যাতন সহ্য করে জনতার পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মুল উদ্দেশ্য ছিল- দেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করা, বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা ও রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করা। এখন একটি পক্ষ সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাঁধাগ্রস্ত করতে সংষ্কারের দোহাই দিচ্ছে, অতচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২৩ সালেই আনুষ্ঠানিক ভাবে রাষ্ট্রকাঠামোকে মেরামত করার জন্য ৩১ দফা সংষ্কার প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন। দেশনায়ক তারেক রহমান সব সময় জনগনের সমৃদ্ধি নিয়ে চিন্তা করেন, জনগনের আকাঙ্খাকে অনুধাবন করেন এবং জন আকাঙ্খাকে বাস্তবয়ন করতে চান।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদের ভরপুর এই উপজেলা। এখান থেকে আহরোণ করা পথর সারাদেশে যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। কিন্তু একটি বিশেষ দেশ থেকে পাথর আমদানি করার জন্য এবং তাদের স্বার্থের জন্য পরিবেশের দোহাই দিয়ে আমাদের পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে করে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে, তাদের পরিবার পরিচয় নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। আমরা চাই প্রকৃতি ও পরিবেশকে বজায় রেখে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে আমাদের শ্রমিক ভাইবোনদের কর্মসংস্থান ফিরে দেয়া হউক। শ্রমিকরা উপকৃত হোক, দেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হোক এবং আমদানি নির্ভরশীলতা ফিরে আসুন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। আমরা শহীদ জিয়ার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চাই।

শনিবার বিকেলে সিলেটের কোমম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরে কোম্পানীগঞ্জ সদর হাইস্কুল মাঠে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বুরহান উদ্দিন, খন্দকার ফরহাদের যৌথ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির আহবয়ায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সালেহ আহমদ খসরু, সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এডভোকেট কামাল আহমদ, সিলেট সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল ফাত্তাহ বকসী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শওকত আলী বাবুল, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনির যুগ্ম-আহবায়ক মিফতাহুল কবির মিফতাহৃ, সিলেট জেলা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাজী সিকন্দর আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নরুল মুত্তাকিন বাদশা, উপজেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল হোসেন আরিফ, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি লায়েক আহমদ, সহ সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ বাহার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাকিম আহমদ ফরহাদ, পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন রবি, পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফখরুল আলম, তেলিখান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরজ আহমদ আনু মিয়া, উত্তর রনিখাই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হেসেন দুদু, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আবুল বাশার বাদশা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আল-আমিন সারোয়ার প্রমূখ।

জনসভায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, উপজেলার অন্তর্গত ৬টি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে যোগদান করেন। এসব মিছিলে বাংলাদেশ ও বিএনপির দলীয় পতাকা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি সম্বলিত রং-বেরঙের ফ্যাস্টুন এবং দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নেতাকর্মীরা যোগদান করেন।
জনসভা উপলক্ষে বেলা ২টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল সহকারে নারী-পুরুষরা জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেন। বিকেল ৪টার পূর্বেই কানায় কামায় পূর্ণ হয়ে যায় কোম্পানীগঞ্জ সদর হাইস্কুল মাঠ। সমাবেশ শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা ৩১ দফা কর্মসূচির প্রতিটি দফা উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।

কর্মসূচির শুরুতেই বিগত নিয়ে ইন্তেকাল করা দলের নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।