• ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

তৃতীয় দিন শেষেই ইনিংস হারের মুখে বাংলাদেশ

দৈনিক সোনালী সিলেট
প্রকাশিত জুন ২৭, ২০২৫
তৃতীয় দিন শেষেই ইনিংস হারের মুখে বাংলাদেশ

সোনালী ডেস্ক:

গলেতে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র করলেও কলম্বোতে বেহাল দশা বাংলাদেশের। ম্যাচের মাত্র তৃতীয় দিন শেষ হলেও এরই মধ্যে ইনিংস ব্যবধানে হারের মুখে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ২৪৭ রানের জবাবে ৪৫৮ রান করে অলআউট হয় শ্রীলংকা। ২১১ রানে রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তবে তৃতীয় দিনের শেষভাগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসের মতোই বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ১১৫ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়েছে তারা। ইনিংস হার এড়াতে ৪ উইকেট হাতে রেখে এখনো করতে হবে ৯৬ রান।

আগের দিনের ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনে ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলংকা। বড় লিড নিলেও তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনটা মন্দ যায়নি বাংলাদেশের। এই সেশনের ২৫ ওভারে ১১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছে টাইগাররা। আগের দিনের ২৯০ রানের সঙ্গে আর ১৫ রান যোগ হতেই পাথুম নিশাঙ্কাকে (১৫৮) ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার তাইজুল। ধনাঞ্জয়া সিলভা (৭) কিংবা প্রবাথ জয়াসুরিয়ারাও (১০) টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। তবে চালিয়ে খেলেন ছয় ও সাত নম্বরে নামা কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস।

ওয়ানডে মেজাজে খেলা কামিন্দুকে থামান নাঈম (৪১ বলে ৩৩ রান)। তবে কুশলের দুর্দান্ত ইনিংসেই রান সাড়ে চার শ ছাড়ায় লংকানরা। ৮৭ বলে ৮৪ রান করে রান আউটে কাটা পড়েছেন তিনি। ইনিংসে দলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কুশল। নিশাঙ্কার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৩ রান করে গতকাল আউট হয়েছিলেন দিনেশ চান্ডিমাল।

বাংলাদেশের হয়ে দারুণ বোলিংয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দেশের বাইরে পঞ্চম ও সব মিলিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৭তম ৫ উইকেট তার। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন নাঈম হাসান। একটি উইকেট নাহিদ রানার। অন্যটি রানআউট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এদিন শুরুটা ইতিবাচকই করেছিলেন এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। প্রথম ৬ ওভারেই এসেছিল ৩০ রান। শ্রীলংকা সফরে আগের তিন ইনিংসে ব্যর্থ বিজয়ের শুরুটাও ছিল মারকুটে। তবে দুর্বলতা প্রকাশ পেতে সময় লাগেনি তার। লেগের বাউন্সার বল ঘুরিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন বিজয় (১৯ বলে ১৯)। দলীয় ৩১ রানে ওই উইকেট হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা। একই রানে ফেরেন সাদমান ইসলাম (২৪ বলে ১২)।

দুই ওপেনারকে হারানোর পর পরের ৩ ব্যাটার মুমিনুল হক (১৫), নাজমুল হোসেন শান্ত (১৯), মুশফিকুর রহিম (২৬) দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। এরপর দিনের একেবারে শেষ ভাগে মেহেদী হাসান মিরাজও এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলে দিনের খেলা শেষ করে দেন আম্পায়ার।