• ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২রা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

রুমায় সেনা অভিযানে কুকি-চিন কমান্ডারসহ ২ সন্ত্রাসী নিহত

দৈনিক সোনালী সিলেট
প্রকাশিত জুলাই ৩, ২০২৫
রুমায় সেনা অভিযানে কুকি-চিন কমান্ডারসহ ২ সন্ত্রাসী নিহত

সোনালী ডেস্ক:

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে সংগঠনের এক শীর্ষ কমান্ডারসহ দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। অভিযানে আরও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোররাতে রুমা উপজেলার ১ নম্বর পাইন্দু ইউনিয়নের মুয়ালপি পাড়া ও রেমাক্রী প্রাংসা পাড়ার মাঝামাঝি, তাইংদাং ঝিড়ির আগা ও নাইতং পাহাড়ের পাদদেশে এ অভিযান চালানো হয়। এই এলাকা কেএনএ’র প্রধান ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

অভিযানে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী লালমিনসাং বম ওরফে সাংমিন বম ওরফে পুতিং বম, কেএনএ’র ‘মেজর’ পদমর্যাদার সদস্য ছিলেন। তিনি সম্প্রতি রুমা ও থানচিতে সংঘটিত ব্যাংক ডাকাতি ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত।

উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে: ৭.৬২ মিমি রাইফেল – ১টি,এসএমজি – ৩টি, ম্যাগাজিন – ৮টি, ৭.৬২×৩৯ মিমি গুলি – ২৩৭ রাউন্ড, ৭.৬২×৫৪ মিমি গুলি – ৬০ রাউন্ড, সন্ত্রাসীদের ইউনিফর্ম, মোবাইল ফোন, ওয়াকিটকিসহ মোট ৫২ ধরনের সামরিক সরঞ্জাম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন রুমার ৩৬ বীর সেনা জোনের উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ মেহেদী সরকার এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন – জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

রুমা সেনা জোনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন,  সেনাবাহিনীর এই অভিযান কেবল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। পাহাড়ের স্থানীয় শান্তিপ্রিয় জনগণের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি রয়েছে। তাদের জান-মাল রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি আরও বলেন,  সন্ত্রাসীদের দমন এবং তাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।